১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে ৬নং সেক্টর রংপুর দিনাজপুরের মিলিটারী অফিসার জনাব মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। ৬নং সেক্টরটি বৃহত্তর রংপুর ও দিনাজপুর জেলা নিয়ে গঠিত ছিল। যাহা বর্তমানে রংপুর বিভাগ হিসাবে পরিচিত। এখানে উল্লেখ্য যে, মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশে যুদ্ধ পরিচালনার সুবিধার্থে ১১টি সেক্টরে ভাগ করা হয়েছিল। এই সেক্টরের সরাসরি পরিধি ছিল প্রথমে পশ্চিমে পশ্চিম বাংলার দিনাজপুরের বালুর ঘাট ও পুর্ব দিকে আসামের মানিকের চর পর্যন্ত এলাকা ছিল। এটা এ কারণে বর্তমান প্রজন্মকে জানানো দরকার যে, এই সেক্টরটি হিমালয়ের পাদদেশ, মেঘালয় আসামের দক্ষিণ পুর্বাংশ ও ব্রক্ষোপুত্র নদ, তিস্তা, ধরলা, করতোয় এই প্রতিকুল খরশ্রোতা নদীগুলো এই সেক্টরে আওতাধীন ছিল। এই সেক্টরের ভিতরে মেটলী মুর্তিতে প্রথম বাংলাদেশ সরকারের মুক্তিযোদ্ধে সৈনিক ও প্রথম দ্বিতীয় কমিশনপ্রাপ্ত সেনা ক্যাম্পে প্রশিক্ষণ ক্যাম্পটি ছিল। যাহা মজিব ক্যাম্প নামে পরিচিত ছিল। এই ক্যাম্প থেকেই বাংলাদেশের তরুন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রথম সামরিক অফিসারগণ প্রশিক্ষণ নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দেন ও অনেকে শহীদ হন। এই সেক্টরের সদর দপ্তর ছিল, বর্তমান লালমনিরহাট জেলার বুড়িমারী হাইস্কুলে। সেক্টর কমান্ডার ছিলেন একমাত্র বিমান বাহিনীর তৎকালীন উইং কমান্ডার মোঃ খাদেমুল বাশার। পরবর্তীকালে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন যিনি মরহুম এয়ার ভাইস মার্শাল খাদেমুল বাশার হিসাবে পরিচিত। ১৯৭৬ সালের ১লা সেপ্টেম্বর ঢাকা পুরাতন বিমান বন্দরে বিমান দর্ঘটনায় শাহাদত বরণ করেন।
৬নং সেক্টরের কয়েকটি সাফ সেন্টার ছিল। সাহেবগঞ্জ, কর্ণেল নওয়াজেশ উদ্দিন, সীতাই শীতলকুঠি কর্ণেল নজরুল হক, বাউড়া বড়খাতায় কর্ণেল মতিউর রহমান, পঞ্চগড় স্কট লিডার ছদরুদ্দিন আহমেদ পরবর্তীতে বিমান বাহিনী প্রধান হয়েছিলেন। মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম এর নেতৃত্বে ১৬ই ডিসেম্বরে কিশোরগঞ্জ থানাকে স্বাধীন ঘোষণা করা হয় এবং স্বাধীনতা বিরোধীরা তার হাতেই আত্বসমর্পন করেন ও বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা তার হাতেই উত্তোলন হয়। ১৯৭১ সালের ১৮ই ডিসেম্বর সৈয়দপুরের অবাঙ্গালী রাজাকার ও স্বাধীনতা বিরোধীরা তার হাতে আত্বসমর্পন করেন।
মোঃ তাজুল ইসলাম
মহান মুক্তিযুদ্ধে ৬নং সেক্টর
রংপুর দিনাজপুরের মিলিটারী অফিসার
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস